দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন খাতের সংস্কারে জোর দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। শিক্ষাখাতেও রয়েছে সংস্কারের বড় দাবি। কাজও শুরু করে সরকার। তবে দায়িত্ব গ্রহণের দুই মাসেও সংস্কারকাজে দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। উল্টো শিক্ষাখাতে বেড়েছে বিশৃঙ্খলা। শিক্ষকদের অপমান-অপদস্ত, পদ থেকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো বন্ধ করা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পুরোদমে ক্লাস-পরীক্ষা চালু হয়নি। শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন নিয়েও বিপাকে সরকার।শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষাখাতে সংস্কারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারকে কঠোর হতে হবে। কোনো পক্ষের বিরোধিতায় হুট করে পিছিয়ে যাওয়া যাবে না। পাশাপাশি সংস্কারকাজে দক্ষ শিক্ষক ও শিক্ষাবিদদের যুক্ত করতে হবে। তাছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাজ বৃহৎ হওয়ায় এককভাবে একজন উপদেষ্টাকে এ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব না দিলে সংস্কারকাজ আলোর মুখ দেখবে না।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাপক হারে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটে। দফায় দফায় নির্দেশনা দিয়েও তা থামাতে রীতিমতো ব্যর্থ হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একপর্যায়ে শিক্ষকদের অপমান-অপদস্থ ও জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। তারপর এ ধরনের ঘটনা কিছুটা কমলেও পুরোপুরি থামেনি।
শিক্ষার্থীদের এত বড় আন্দোলনে শিক্ষকদের অবস্থান সত্যিই ইতিবাচক ছিল না। তবে তার মানে এই নয় যে, কোনো শিক্ষককে ছাত্র-ছাত্রীরা অপমান-অপদস্থ করবে। টেনেহিঁচড়ে পদ থেকে নামিয়ে দেবে। তাহলে শিক্ষাপ্রশাসন কেন আছে?-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাবের আহমেদ চৌধুরী
সবশেষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে ক্যাম্পাস ছাড়া করেছেন শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর রামপুরায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া এখনো প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ ট্যাগ দিয়ে চলছে অপদস্থ করার প্রয়াস। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিলেও এসব ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এসব ঘটনা বন্ধ না করা গেলে শিক্ষাঙ্গনে বিশৃঙ্খলা থামবে না বলে মনে করছেন শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাবের আহমেদ চৌধুরী বাংলা খবরকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এত বড় আন্দোলনে শিক্ষকদের অবস্থান সত্যিই ইতিবাচক ছিল না। এটা সবাই স্বীকার করবেন। তবে তার মানে এই নয় যে, কোনো শিক্ষককে ছাত্র-ছাত্রীরা অপমান-অপদস্থ করবে। টেনেহিঁচড়ে পদ থেকে নামিয়ে দেবে। তাহলে শিক্ষাপ্রশাসন কেন আছে? এ জায়গায় সরকারকে অত্যন্ত কঠোর হতে হবে।’মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক এ বি এম রেজাউল করীম বলেন, ‘এটা অনেকটা কমে এসেছে। আশা করি, সামনের দিনে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না। আমরা সতর্ক আছি।’
হঠাৎ কমিটি করায় কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি ছিল। অনেকে সেগুলো নিয়ে সমালোচনা করেছেন। আমরা সেগুলো ইতিবাচকভাবে নিয়েছি। খুবই স্বল্প পরিসরে সংশোধন-পরিমার্জনের কাজ হয়েছে। সেগুলো সফলভাবে শেষ হয়েছে। আর কোনো বাধা-বিপত্তি নেই।-এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান
আওয়ামী লীগ সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রাজনৈতিক বিবেচনায় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষসহ শীর্ষ পদগুলোতে নিয়োগ দেওয়া রেওয়াজে পরিণত করেছিল। ফলে সরকার পতনের পর সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা পদত্যাগে বাধ্য হন। অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। বন্ধ হয়ে যায় ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের কার্যক্রম। ফলে উপাচার্য নিয়োগ দিতে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে অন্তর্বর্তী সরকার।সেপ্টেম্বরের শুরুর দিক থেকে উপাচার্য নিয়োগ শুরু করে সরকার। এ পর্যন্ত অন্তত ৩৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ করা হয়েছে। এখনো ১৫টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় অভিভাবকশূন্য। ফলে সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষাসহ অন্য কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করা যায়নি। দায়িত্ব গ্রহণের দুই মাসেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চালু করতে না পারা এ সরকারের বড় ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাংলা খবরকে বলেন, ‘অরাজনৈতিক উপাচার্য নিয়োগ দেওয়ার একটি প্রবণতা এ সরকারের মধ্যে দেখা গেছে। সেজন্য তারা চ্যালেঞ্জে পড়েছেন। তবে আমি মনে করি, এক্ষেত্রে একেবারে তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে, তা নয়। হয়তো আন্তরিকতা থাকলে আরও দ্রুততম সময়ে ক্লাস-পরীক্ষা চালু করা যেত।’
মাদরাসার একজন শিক্ষক বা একজন কওমি মাদরাসার আলেম আমাদের সমাজবিজ্ঞান বই সংশোধন করতে পারবেন না। সেখানে সামিনা লুৎফা বা ভালো গবেষককে রাখতে হবে। আপনি ইসলাম ধর্ম সংশোধনে আলেম রাখতে পারেন। যাকে দিয়ে যে কাজটি হবে, সেটা করাতে হবে।- ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, ‘এত বড় আন্দোলন যেটা হলো; তা কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরেই। ফলে সেটার প্রভাব থাকবেই। আমি মনে করি, সরকার অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য নিয়োগ দিয়েছে। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, তাতে মোটামুটি সব বিশ্ববিদ্যালয় এখন সচল। দু-একটাতে যে সমস্যা আছে, সেটা শিগগির ঠিক হয়ে যাবে।’
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর শিক্ষাপ্রশাসনে কয়েক দফায় বড় রদবদল এনেছে। বিগত সরকারের অনুগতদের সরিয়ে তুলনামূলক নিরপেক্ষ ও বিএনপি-জামায়াতপন্থি কর্মকর্তাদের বিভিন্ন পদে বসিয়েছে। তারপরও শিক্ষাপ্রশাসনে তেমন গতি আসেনি। শিক্ষাপ্রশাসনের বিভিন্ন কাজ যথাসময়ে শেষ করতে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতায় পড়ছে সরকার।মাউশির একজন নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বাংলা খবরকে বলেন, ‘বিভিন্নভাবে বিগত আওয়ামী লীগের দোসররা কৌশলে প্রশাসনের মধ্যে থেকে গেছেন। তারা ঠিকমতো কাজ করছেন না। অসহযোগিতা করার একটা প্রবণতা তাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। ফলে সাবলীলভাবে কার্যক্রম পরিচালনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-১) ড. খ ম কবিরুল ইসলাম বাংলা খবরকে বলেন, ‘প্রথম দিকে হয়তো কিছু সমস্যা ছিল। এখন আমার দৃষ্টিতে কোনো সমস্যা দেখছি না। সবাই কাজ করছেন। সংস্কারকাজগুলোও গতিশীলভাবে চলছে।’
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রণীত জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তারা আগের সৃজনশীল শিক্ষাক্রমে ফেরার ঘোষণা দিয়েছে। সেজন্য ২০২২ সালের পাঠ্যবই কিছুটা পরিমার্জন ও সংশোধনের কাজ চলছে। এ কাজে গঠিত দুটি কমিটি নিয়ে বিপাকে পড়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটিতে যাদের রাখা হয়েছে তাদের ‘ইসলামবিদ্বেষী’ ট্যাগ দিয়ে মাঠে নেমেছে বিভিন্ন ইসলামি রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। তাছাড়া বিষয়ভিত্তিক বই সংশোধন কমিটির সদস্যদের নিয়েও নানা সমালোচনার মুখে পড়েছে সরকার।তবে বই পরিমার্জন ও সংশোধনে সাময়িক অসুবিধার মুখে পড়লেও তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান। তিনি বাংলা খবরকে বলেন, ‘হঠাৎ কমিটি করায় কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি ছিল। অনেকে সেগুলো নিয়ে সমালোচনা করেছেন। আমরা সেগুলো ইতিবাচকভাবে নিয়েছি। খুবই স্বল্প পরিসরে সংশোধন-পরিমার্জনের কাজ হয়েছে। সেগুলো সফলভাবে শেষ হয়েছে। আর কোনো বাধা-বিপত্তি নেই।’
শিক্ষাখাত সংস্কারের আলোচনা উঠলেই সবার আগে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা নিয়ে কাজ করা উচিত বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা। তবে গত দুই মাসে এ নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বা সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে কোনো আলোচনা শোনা যায়নি। শিক্ষকরা বিক্ষিপ্তভাবে বেতন-ভাতা ও বদলির ব্যবস্থা করা নিয়ে আন্দোলন করলেও তা নিয়ে দৃশ্যমান কোনো আলোচনা নেই।
শিক্ষকরা বলছেন, বেসরকারি এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষকরা মাত্র ১২ হাজার ৩০০ টাকা বেতনে চাকরিতে যোগদান করছেন। এ টাকা দিয়ে তাদের সংসার চালানো সম্ভব নয়। তাছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ভিত্তি ধরা হলেও সেখানেও শিক্ষকদের বেতন অন্য দেশের তুলনায় অত্যন্ত কম। প্রাথমিক শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক মু. মাহবুবর রহমান বাংলা খবরকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন আমরা প্রাথমিক শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নে কাজ করছি। এখন আমরা আরও আশাবাদী। আশা করছি, অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের দাবি মেনে নেবে।’শূন্যপদে বদলিপ্রত্যাশী শিক্ষক ঐক্যজোটের সমন্বয়ক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাত্র ১২ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করছি। অথচ আমাদের নিজ এলাকা থেকে কয়েকশ কিলোমিটার দূরের প্রতিষ্ঠানে পদায়ন করা হয়। বদলির ব্যবস্থাও নেই। শিক্ষাখাতে সংস্কার করতে হলে সবার আগে শিক্ষকদের যৌক্তিক বেতন কাঠামো ও বদলির ব্যবস্থা করতে হবে।’
শিক্ষাখাত সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারের ইতিবাচক মনোভাব থাকলেও নতজানু নীতির কারণে তা বাস্তবে রূপ দেওয়া কঠিন হবে বলে মনে করেন শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা। পাঠ্যবই সংশোধন, শিক্ষাক্রম পরিমার্জন থেকে শুরু করে সব কাজে যোগ্য ও দক্ষদের দায়িত্বে আনা হলে বিভিন্ন পক্ষের বাধার মুখে পড়ছে সরকার। কখনও কাউকে ইসলামবিদ্বেষী ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে, কাউকে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বলে চিহ্নিত করে অস্থিরতা সৃষ্টি চলছে। এতে নতি স্বীকার করছে অন্তর্বর্তী সরকারও। বিশেষ করে পাঠ্যবই সংশোধন-পরিমার্জন কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও গবেষক সামিনা লুৎফা নিত্রা এবং অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুনকে রাখা নিয়ে ধর্মীয় বিভিন্ন সংগঠনের বিরোধের মুখে কমিটি বাতিল করা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার।
ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘মাদরাসার একজন শিক্ষক বা একজন কওমি মাদরাসার আলেম আমাদের সমাজবিজ্ঞান বই সংশোধন করতে পারবেন না। সেখানে সামিনা লুৎফা বা ভালো গবেষককে রাখতে হবে। আপনি ইসলাম ধর্ম সংশোধনে আলেম রাখতে পারেন। যাকে দিয়ে যে কাজটি হবে, সেটা করাতে হবে। এখানে পদে পদে বাধা দিলে তা মেনে নিলে এগোনো যাবে না।’
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘শিক্ষাখাতে সংস্কার আনতে আমরা বিভিন্ন কমিটি করে দিচ্ছি। তারা কাজ করছেন। কিছু বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয়েছে, এটা সত্য। তবে সেগুলো এড়িয়ে আমরা কাজ করবো। যতদূর পারি গুণগত একটা পরিবর্তন আমরা আনবো।’তিনি বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকার। চাইলে নতুন একটা শিক্ষাক্রম করতে পারবো না। চাইলেই হাজার হাজার শিক্ষক হঠাৎ নিয়োগ দিতে পারবো না। আবার চাইলেই কিন্তু হঠাৎ শিক্ষকদের বেতনটা খুব বেশি বাড়িয়ে দিতেও পারবো না। সব দিক মাথায় রেখে সংস্কারকাজটা হচ্ছে। আশা করি, একটা ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে আমরা শিক্ষাখাত নিয়ে যেতে পারবো।’