খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েটে) ঘটে যাওয়া সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও উত্তপ্ত ক্যাম্পাস। এখনও ৬ দফা দাবি আদায়ে অনড় শিক্ষার্থীরা। ঘটনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি, ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের অপসারণসহ ৬ দফা দাবি আদায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।
কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে আয়োজন করে “রক্তাক্ত কুয়েট শিরোনাম ছবির প্রদর্শনী”। প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে শতাধিক ছবি। প্রদর্শনীর এসব ছবিতে ফুটে উঠেছে বহিরাগতদের হামলায় আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও হামলাকারীদের ছবি। শুধু আহত এবং হামলাকারীদের ছবি নয় প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে সংঘর্ষ পরবর্তী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন আন্দোলনের ছবিও।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, এ প্রদর্শনীর মধ্যদিয়ে দেশবাসীর কাছে হামলার বিবরণটা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। সেই সাথে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির যে কুফল সেটিও তুলে ধরা হচ্ছে। আমরা যখন চলে যাবো পরবর্তী প্রজন্ম তখন বুঝতে পারবে ছাত্র রাজনীতির কুফলটা কি।
ছবিতে আহত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি যারা হামলা করেছে তাদের ছবিও দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যদিয়ে কর্তৃপক্ষ সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করতে পারবে বলেও শিক্ষার্থীদের বিশ্বাস।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে অনেক প্রপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। অনেকে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছেন। আমরা দেখাতে চাচ্ছি কারা হামলাকারী। সুতরাং যারা হামলাকারী তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। একইসাথে যাতে হামলাকারীদের প্রমাণ যাতে কেউ বিনষ্ঠ করতে না পারে এবং বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে সেজন্যও এ ধরনের ছবি প্রদর্শন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও শিক্ষার্থীরা মনে করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের ফরম বিতরণকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় অংশ নেয় স্থানীয় বহিরাগতরাও। এ নিয়ে কুয়েটের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। এরই মধ্যে ওইদিনের হামলা নিয়ে যাতে কেউ অপরাজনীতি না করতে পারে সেজন্য ছবি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ত্রাস ও ছাত্র রাজনীতিকে লালকার্ড প্রদর্শন করে কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।